সর্বশেষ আপটেড

সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি না ঘটলে প্রাণীকূলের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে

৬ষ্ঠ শ্রেণির কোমলমতী শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি তোমরা খুব ভালো আছো। আজ তোমাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলে তোমাদের জন্য রয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের বিজ্ঞান বিষয়ের ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : সালোকসংশ্লেষণ না ঘটলে প্রাণীকূলের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে- যৌক্তিকতা নিরূপণ।

ষষ্ঠ শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের বিজ্ঞান বিষয়ের ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট

ষষ্ঠ শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট- ০৪:

অর্ক ছোট একটা টবে পেঁয়াজ লাগিয়ে জানালার পাশে রোদের আলোতে রেখে দিয়েছে। কিছুদিন পর এর সবুজ পাতা গজিয়ে বেশ বড় হয়েছে। সে বেশ পুলকিত হয়ে প্রতিদিন এটি পর্যবেক্ষণ করছে। তার বড় ভাই তাকে জানালো যে, এখানে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া ঘটছে যার মাধ্যমে পরিবেশে অক্সিজেন ছড়াচ্ছে। এ বিষয়টি পরীক্ষণের জন্য হাইড্রিলা উদ্ভিদ ব্যবহার করে অক্সিজেন বের হওয়ার ঘটনা দেখা যাবে।

১. এই বিশেষ প্রক্রিয়াটির নাম কি? কেন এটি শুধু সবুজ উদ্ভিদেই ঘটে?

২. সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি দেখাও এবং অক্সিজেন বের হওয়ার, পরীক্ষণটি করার জন্য হাইড্রিলা উদ্ভিদ ব্যবহার করার সুবিধা ব্যাখ্যা করো।

৩. এই প্রক্রিয়াটি না ঘটলে প্রাণীকূলের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে কিনা- যৌক্তিকতা নিরূপণ করো।

নির্দেশনা

  • ১. শিক্ষার্থীরা বিশেষ প্রক্রিয়াটির নাম উল্লেখ করবে এবং যৌক্তিক কারণ উল্লেখপূর্বক ব্যাখ্যা করবে।
  • ২. সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি সমীকরণের মাধ্যমে দেখাবে এবং পরীক্ষণে হাইড্রিলা উদ্ভিদ ব্যবহার করা হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করবে।
  • ৩. যৌক্তিকতা উল্লেখ পূর্বক মতামত লিখবে।
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি না ঘটলে প্রাণীকূলের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে?

১৫তম সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান

১. এই বিশেষ প্রক্রিয়াটির নাম কি? কেন এটি শুধু সবুজ উদ্ভিদেই ঘটে?

এই বিশেষ প্রক্রিয়ার নাম হলো সালোকসংশ্লেষণ। এটি সবুজ উদ্ভিদের মধ্যে ঘটে কারণ সবুজ উদ্ভিদরাই এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে। সবুজ উদ্ভিদ ছাড়া অন্য কোনো উদ্ভিদ এই বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করতে পারে না।

২. সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি দেখাও এবং অক্সিজেন বের হওয়ার, পরীক্ষণটি করার জন্য হাইড্রিলা উদ্ভিদ ব্যবহার করার সুবিধা ব্যাখ্যা করো।

সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি নিচে দেখানো হলো এবং হাইড্রিলা উদ্ভিদের ব্যবহার এর সুবিধা বর্ণনা করা হলোঃ
সালোকসংশ্লেষণ-প্রক্রিয়ায় যে অক্সিজেন নির্গত হয়, তা পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণ করা যায়। নিচে তা বর্ণনা করা হলো:

পরীক্ষার উপকরণ: 

একটি কাচের বিকার, Hydrilla উদ্ভিদ, একটি ফানেল, একটি টেস্টটিউব, পানি, শিখাহীন জ্বলন্ত কাঠি।

কার্যপদ্ধতি:

Hydrilla নামক জলজউদ্ভিদকে বিকারে রেখে একটি ফানেল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। Hydrilla উদ্ভিদকে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যেন এর কাটা কাণ্ড ফানেলের নলের দিকে থাকে। এবার বিকারে এমনভাবে পানি ঢালতে হবে, যাতে ফানেলের সরু নলটি পানিতে ডুবে থাকে। এখন একটি টেস্টটিউব সম্পূর্ণ পানি ভর্তি করে ফানেলের নলের ওপর উপুড় করে রাখতে হবে। এ অবস্থায় পরীক্ষার সেটটিকে সূর্যালোকে রাখতে হবে।

পর্যবেক্ষণ: 

কিছুক্ষণ পরে দেখা যাবে, Hydrilla উদ্ভিদ থেকে বুদ্বুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছে এবং টেস্টটিউবে জমা হচ্ছে। কিছু গ্যাস জমা হলে টেস্টটিউবটি সাবধানে উঠিয়ে আনতে হবে এবং একটি শিখাহীন জ্বলন্ত কাঠি টেস্টটিউবটি সোজা করে তার মাথায় ধরতে হবে। দেখা যাবে, কাঠিটি দপ করে জ্বলে উঠেছে।

সিদ্ধান্ত: 

যেহেতু গ্যাসটি শিখাহীন কাঠিটিকে জ্বলতে সাহায্য করেছে, সেহেতু গ্যাসটি অক্সিজেন। কারণ, অক্সিজেন নিজে জ্বলে না, অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে। Hydrilla উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের ফলেই এই অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়েছে।

হাইড্রিলা উদ্ভিদ ব্যবহার করার সুবিধা :

হাইড্রিলা হলো মূলাবদ্ধ নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদ। হাইড্রিলার দেহ সম্পূর্ণভাবে পানিতে নিমজ্জিত এবং তারা মূলের সাহায্যে মাটির সাথে আবদ্ধ থাকে, সে জন্য হাইড্রিলাকে মূলাবদ্ধ নিমজ্জিত জলজ উদ্ভিদ বলা হয়ে থাকে।এটি পানির মধ্যে থেকে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে কিন্তু অন্য কোনো উদ্ভিদ তা পারে না। তাই, আমরা হাইড্রিলা উদ্ভিদের ব্যবহার করি।

৩. এই প্রক্রিয়াটি না ঘটলে প্রাণীকূলের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে কিনা- যৌক্তিকতা নিরূপণ করো।

এই প্রক্রিয়াটি অর্থাৎ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না হলে প্রাণীকূল হুমকির মুখে পড়বে। নিচে এর কারণ বিশ্লেষন করা হলোঃ

আমরা জানি, প্রাণী অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে না, আর অক্সিজেন কেবলমাত্র গাছ থেকে উৎপন্ন হয় গাছ থেকে উৎপন্ন হয় বলতে বুঝাচ্ছি মূলত উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করে। তাই প্রাণী অক্সিজেনের জন্য সরাসরি উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং এই প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।

নিচে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার গুরত্ব লেখা হলোঃ

সালোকসংশ্লেষণ হলো উদ্ভিদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ খাদ্য উৎপাদন করে। জীবজগতে সালোকসংশ্লেষণের গুরুত্ব অপরিসীম। নিম্নে সংক্ষেপে এর গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:

১। সকল শক্তির উৎস সূর্য। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় সৌর শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত করে।

৩। পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণির খাদ্য প্রস্তুত হয় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়।

২। খাদ্যশৃংখলের মাধ্যমে উক্ত শক্তি সকল জীবে সঞ্চারিত হয়।

৪। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় CO2  ও O2 অনুপাত ঠিক রাখতে সালোকসংশ্লেষণ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৫। উদ্ভিদ ও প্রাণির স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বায়ুতে এ দুটি গ্যাসের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে উক্ত প্রক্রিয়ার ভূমিকা রয়েছে।

৬। শ্বসন প্রক্রিয়ায় নির্গত গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বায়ুমণ্ডল জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। সালোকসংশ্লেষণ উক্ত গ্যাস গ্রহণ করে বায়ুকে নির্মল রাখে।

৭। মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান যেমন- কয়লা, পেট্রোল, রেয়ন, কাগজ, রাবার, ঔষধ ইত্যাদি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার ফল।         

উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এই প্রক্রিয়াটি না ঘটলে প্রাণীকূলের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে।

এই ছিল তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের বিজ্ঞান বিষয়ের ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : সালোকসংশ্লেষণ না ঘটলে প্রাণীকূলের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে- যৌক্তিকতা নিরূপণ।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ